একটি বাঁচার গল্প
একটা ব্যাঙ গর্তের মধ্যে পড়ে গেছে। অনেকক্ষন উঠার চেষ্টা করেও কিছুই সে করতে পারছিল না। এসময় একটা শেয়াল সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। ব্যাঙের চিৎকার শুনতে পেরে সে গর্তের কাছে ছুটে এলো।শেয়ালঃ কি হয়েছে ব্যাঙ মামা?
ব্যাঙঃ না কিছু না, গান গাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।
শেয়ালঃ ও, আমি ভাবলাম তুমি বোধ হয় বিপদে পড়েছে তাই চিৎকার করছিলে! এরপর ব্যাঙ কিছু বলার আগেই শেয়াল সেখান থেকে চলে যায়!
(নীতিবাক্য ১: বোকার সাথে ফাজলামি করতে গেলে বিপদ আরো বাড়বে)
ব্যাঙ ভাবলো হয়তো শেয়াল মামা তার অসুবিধার কথা বুঝতে পেরে সাহায্য আনতে গেছে। এজন্য সে চুপচাপ বসেছিল। কিন্তু এই ফাঁকে তিনটা হরিন সেখান দিয়ে চলে যায়।
(নীতিবাক্য ২: বিপদে পড়লে কখনই একজনের উপর নির্ভর করা উচিত নয়)
কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর একটি সিংহ সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। সিংহের পায়ের আওয়াজ পেয়ে ব্যাঙটি আবার চিৎকার করা শুরু করল। চিৎকার শুনে সিংহ তার কাছে ছুটে এল।
সিংহঃ কি হয়েছে রে তোর?
ব্যাঙঃ মামা, ভুল করে গর্তে পড়ে গিয়েছি।
সিংহঃ তোদের নিয়ে আর পারি না। কই চলার সময় রাস্তা দেখে হাটবি নাকি চোখ যে কইরাখিস!
ব্যাঙঃ মামা, ভুল হয়ে গেছে।
সিংহঃ দাঁড়া দেখি সাহায্য করতে পারি নাকি! এরপর সিংহটি তার লেজ নিচে নামিয়ে দেয়। যদিও তার লেজের দৈর্ঘ্য তার হাতের চেয়ে অনেক কম ছিল। ব্যাঙটি লাফ দিয়েও একটুর জন্য লেজটি ধরতে পারে না। ব্যার্থ হয়ে সিংহ হেঁটে চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষনপর ব্যাঙ আবার কার জানি পায়ের আওয়াজ শুনতে পারে। হটাৎ সে দেখতে পারে যে, বিশাল বপুর সিংহ আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসে সোজা
গর্তের মধ্যে পড়ে যায়।
ব্যাঙঃ মামা, হঠাৎ এখানে?
সিংহঃ আররে, বলিস না! একটা সুন্দর পাখি দেখছিলাম।
ব্যাঙঃ তো এখানে কেমনে এলে?
সিংহঃ খেয়াল করি নাই যে গর্ত ছিল!(নীতিবাক্য ৩: নিজে যা পারোনা সে কাজ বা কথা অন্য কাউকে বলো না)
(নীতিবাক্য ৪: আকাশে উড়ার চেষ্টা করলে ভুপাতিত হতে ইহবে) এরপর ব্যাঙটি লক্ষ্য করল যে সিংহ মামা পড়ায় সে এখন তার উপর উঠলে আরেকটু উপরে উঠতে পারবে।
ব্যাঙঃ তোমার মাথায় ময়লা মামা!
সিংহঃ কইরে? কিছুই তো বুঝবার পারতাসি না!
ব্যাঙঃ দাও মামা, আমি পরিষ্কার করে দেই।
এই বলে ব্যাঙ সিংহের মাথার উপর উঠে লাফ দিয়ে গর্ত থেকে বের হয়ে যায়।
(নীতিবাক্য ৫: উপস্থিত বুদ্ধি থাকলে যে কোনো পরিস্থিতি থেকেই বের হওয়া যায়)
(নীতিবাক্য ৬: অক্ষমও অনেকসময় অনেক কিছুতেই সাহায্য করতে পারে যা সক্ষমেরা পারে না)
ব্যাঙ বের হয়ে এলো। কিন্তু সে তার বিপদের সঙ্গীকে ভুলে গেল না। সে বনের ভেতর থেকে জিরাফ মামা কে খুঁজে নিয়ে এলো। জিরাফ মামা তখন সিংহ মামাকে গর্ত থেকে বের করে নিয়ে এলো। তার পর সবাই সুখে শান্তিতে বনে বাস করতে লাগল....
(নীতিবাক্য ৭: জীবনে যত কষ্ট আসুক যত বিপদেই পরেন না কেন হতাশ হবেন না অপেক্ষা করুন নতুন করে বেঁচে ঊঠার দেখবেন আপনি ঠিকই কষ্টটাকে ভুলে যেতে পারবেন)
শেয়ালঃ ও, আমি ভাবলাম তুমি বোধ হয় বিপদে পড়েছে তাই চিৎকার করছিলে! এরপর ব্যাঙ কিছু বলার আগেই শেয়াল সেখান থেকে চলে যায়!
(নীতিবাক্য ১: বোকার সাথে ফাজলামি করতে গেলে বিপদ আরো বাড়বে)
ব্যাঙ ভাবলো হয়তো শেয়াল মামা তার অসুবিধার কথা বুঝতে পেরে সাহায্য আনতে গেছে। এজন্য সে চুপচাপ বসেছিল। কিন্তু এই ফাঁকে তিনটা হরিন সেখান দিয়ে চলে যায়।
(নীতিবাক্য ২: বিপদে পড়লে কখনই একজনের উপর নির্ভর করা উচিত নয়)
কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর একটি সিংহ সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। সিংহের পায়ের আওয়াজ পেয়ে ব্যাঙটি আবার চিৎকার করা শুরু করল। চিৎকার শুনে সিংহ তার কাছে ছুটে এল।
সিংহঃ কি হয়েছে রে তোর?
ব্যাঙঃ মামা, ভুল করে গর্তে পড়ে গিয়েছি।
সিংহঃ তোদের নিয়ে আর পারি না। কই চলার সময় রাস্তা দেখে হাটবি নাকি চোখ যে কইরাখিস!
ব্যাঙঃ মামা, ভুল হয়ে গেছে।
সিংহঃ দাঁড়া দেখি সাহায্য করতে পারি নাকি! এরপর সিংহটি তার লেজ নিচে নামিয়ে দেয়। যদিও তার লেজের দৈর্ঘ্য তার হাতের চেয়ে অনেক কম ছিল। ব্যাঙটি লাফ দিয়েও একটুর জন্য লেজটি ধরতে পারে না। ব্যার্থ হয়ে সিংহ হেঁটে চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষনপর ব্যাঙ আবার কার জানি পায়ের আওয়াজ শুনতে পারে। হটাৎ সে দেখতে পারে যে, বিশাল বপুর সিংহ আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসে সোজা
গর্তের মধ্যে পড়ে যায়।
ব্যাঙঃ মামা, হঠাৎ এখানে?
সিংহঃ আররে, বলিস না! একটা সুন্দর পাখি দেখছিলাম।
ব্যাঙঃ তো এখানে কেমনে এলে?
সিংহঃ খেয়াল করি নাই যে গর্ত ছিল!(নীতিবাক্য ৩: নিজে যা পারোনা সে কাজ বা কথা অন্য কাউকে বলো না)
(নীতিবাক্য ৪: আকাশে উড়ার চেষ্টা করলে ভুপাতিত হতে ইহবে) এরপর ব্যাঙটি লক্ষ্য করল যে সিংহ মামা পড়ায় সে এখন তার উপর উঠলে আরেকটু উপরে উঠতে পারবে।
ব্যাঙঃ তোমার মাথায় ময়লা মামা!
সিংহঃ কইরে? কিছুই তো বুঝবার পারতাসি না!
ব্যাঙঃ দাও মামা, আমি পরিষ্কার করে দেই।
এই বলে ব্যাঙ সিংহের মাথার উপর উঠে লাফ দিয়ে গর্ত থেকে বের হয়ে যায়।
(নীতিবাক্য ৫: উপস্থিত বুদ্ধি থাকলে যে কোনো পরিস্থিতি থেকেই বের হওয়া যায়)
(নীতিবাক্য ৬: অক্ষমও অনেকসময় অনেক কিছুতেই সাহায্য করতে পারে যা সক্ষমেরা পারে না)
ব্যাঙ বের হয়ে এলো। কিন্তু সে তার বিপদের সঙ্গীকে ভুলে গেল না। সে বনের ভেতর থেকে জিরাফ মামা কে খুঁজে নিয়ে এলো। জিরাফ মামা তখন সিংহ মামাকে গর্ত থেকে বের করে নিয়ে এলো। তার পর সবাই সুখে শান্তিতে বনে বাস করতে লাগল....
(নীতিবাক্য ৭: জীবনে যত কষ্ট আসুক যত বিপদেই পরেন না কেন হতাশ হবেন না অপেক্ষা করুন নতুন করে বেঁচে ঊঠার দেখবেন আপনি ঠিকই কষ্টটাকে ভুলে যেতে পারবেন)
Tags:
গল্পে গল্পে শিক্ষা